দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনার পর ভারত ও পাকিস্তান আজ (শনিবার) একটি পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স (DGMO) শনিবার বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে ভারতের DGMO-কে ফোন করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। উভয় পক্ষ সম্মত হয় যে, বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) পোস্টে বলেন, "ভারত ও পাকিস্তান আজ গোলাগুলি ও সামরিক কার্যক্রম বন্ধে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। ভারত সবসময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।"
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এক্স-এ লেখেন, "পাকিস্তান ও ভারত তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। পাকিস্তান সবসময় অঞ্চলটিতে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য কাজ করেছে, তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রেখেই।"
এই চুক্তি আসে এমন এক সময়ে, যখন কাশ্মীর অঞ্চলে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে অন্তত ২৬ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছে । উভয় দেশের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চলছিল, যা ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর সবচেয়ে গুরুতর সংঘর্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি আন্তর্জাতিক মহলে স্বাগত পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, "একটি দীর্ঘ রাতের আলোচনার পর, আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। উভয় দেশকে সাধারণ বুদ্ধি ও মহান বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য অভিনন্দন।"
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি দক্ষিণ এশিয়ায় একটি স্থিতিশীলতা ও কৌশলগত ভারসাম্য আনতে পারে। যদিও চুক্তি বাস্তবায়ন নির্ভর করছে উভয় দেশের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের উপর।